online earning

Sunday, February 03, 2013

১ প্রাথমিক জীবন
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জেষ্ঠ্য সন্তান তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর তারিখে। তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ হতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করার পর[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তিনি পেশা হিসেবে ব্যবসায়কে বেছে নেন। ব্যবসায়ে অবতীর্ণ হয়ে তারেক রহমান বস্ত্রশিল্পে বিনিয়োগ করেন ও স্বল্প সময়ের মাঝে ঐ ব্যবসায়ে সাফল্য অর্জন করেন। পরে তিনি নৌ-যোগাযোগ খাতেও বিনিয়োগ করেন ও সাফল্য অর্জন করেন। ২ রাজনীতি বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে যোগদান করে তারেক রহমান তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে সংগঠনের যোগ দেয়ার পূর্বেই তারেক রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক তার মায়ের সহচর হিসেবে সারা দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও তারেক রহমান মা বেগম জিয়ার প্রচারণা কার্যক্রমের পাশাপাশি পৃথক পরিকল্পনায় দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা চালান। মূলত ২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় তার অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতির প্রথম সারিতে তারেক রহমানের সক্রিয় আগমন ঘটে । ২.১ ২০০২ সালের পর গণ-সংযোগ
২০০২ সালে তারেক রহমান দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির একজন জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্মপ্রাপ্ত হন। দলের উর্দ্ধতন পর্যায়ে নিয়োগ লাভের পরপরই তারেক রহমান দেশব্যাপী দলের মাঠপর্যায়ের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। মূল সংগঠন সহ সহযোগী সংগঠন যেমন জাতীয়তাবাদী যুব দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ইত্যাদি আয়োজিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তারেক রহমান কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ও মাঠপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ও মতামত গ্রহণ করেন। এ সভাগুলোতে তারেক মূলত দলের গঠনতন্ত্র, উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘ মতবিনিময় করেন। বিস্তারিত মতবিনিময়ের বিষয়বস্তুর মাঝে আরও ছিল প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে দলের করণীয় ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন- অগ্রগতি নিশ্চিতকরণে সরকারী দল হিসেবে বিএনপির করণীয় প্রসঙ্গে আলোচনা। পরবর্তীতে দেখা যায় যে এই জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে দলের নেতাকর্মীদের তরুণ অংশটির মনোবল অসামান্য বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে তারেক রহমান শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচিত থেকে বেরিয়ে এসে দলের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ৩ অভিযোগ ও বিতর্কসমূহ ২০০২ সালে ৩৫ বছর বয়সী তারেক রহমানকে দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন নেতা হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার ফলে কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এই সিদ্ধান্তকে স্বজনপ্রীতি বলে চিহ্নিত করেন। সংসদের তৎকালীন বিরোধী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দও এই সিদ্ধান্তের প্রতি নিন্দামুখর ছিলেন।অবশ্য দলের পক্ষ থেকে বা দলের কোন নেতাকে কখনও এই সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত করতে দেখা যায়নি[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] কেননা তারেক রহমান সক্রিয় ভাবে দলের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তার নিয়োগলাভকে যথাযথ প্রমাণে উদ্যোগী ছিলেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। দেশের কিছু সংবাদমাধ্যম তারেক রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ আনতে শুরু করে। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করেছিল, দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ দূর্নীতির অভিযোগ আনে। বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া সহ তারেক রহমানের কার্য্যালয় ঢাকার বনানীস্থ হাওয়া ভবনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অভিযোগ প্রচারিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ ছিল যে, তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে হাওয়া ভবন সরকারের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছে। সাড়াজাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিক্স বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের এমব্যাসির গোপন তারবার্তা ফাঁস করে। এতে তারেককে "দুর্নীতি ও চুরির মানসিকতাসম্পন্ন" বলে আক্ষায়িত করে। বার্তায় তারেকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়। তারবার্তায় আরও বলা হয়, তার (তারেকের) কোটি কোটি ডলারের সরকারি অর্থ চুরি এই মডারেট মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি এবং খাম্বা বাণিজ্যের অভিযোগ আছে। এক সরকারি ডিফেন্স কর্মকর্তার ড্রাইভার দিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুতফরজামান বাবর এবং তারেকের চোরাচালানের ট্রাক পরিবহণের কথাও সর্বজনবিদিত। ২১শে অগাস্ট তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামীলীগের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলায় তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উচ্চ আদালতে এখনো বিচারাধীন।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। এফ বি আই এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ডেবরা লাপ্রেভেটি বাংলাদেশে এসে এই মামলায় সাক্ষী দিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন তারেকের অর্থপাচারের দুর্নীতির বিষয়ে সব ধরনের প্রমান তাদের কাছে আছে। সাক্ষ্য প্রদানের সময় তারেকের আইনজীবীরা তাকে কোনধরনের প্রশ্ন করেননি তাদের কাছে অভিযোগ প্রত্যাখ্যানের স্বপক্ষে কোন প্রমান না থাকায়। ৪ সেনা সমর্থিত সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার ১১ জানুয়ারী, ২০০৭ তারিখে নিয়মতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অপসারণ করে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর তৎকালীন চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পরে জেনারেল হিসেবে অবসর নেন) মঈন উদ্দীন আহমেদের হস্তক্ষেপে একটি অগণতান্ত্রিক ও অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। ১২ জানুয়ারী উপদেষ্টা পরিষদ নাম্নী একটি মন্ত্রীসভা গঠিত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ প্রচুর মামলা দায়ের করা হয়। ৭ মার্চ, ২০০৭ তারিখে একটি দূর্নীতি মামলার আসামী হিসেবে তারেক রহমানকে তার ঢাকা ক্যান্টমেন্টস্থ মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি দূর্নীতির মামলা দায়ের করা হয় ও তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়। ৪.১ আটকাবস্থায় শারীরিক নির্যাতন গ্রেপ্তারের কিছুদিন পর তারেককে আদালতে হাজির করা হলে তার শারীরিক অবস্থার প্রচন্ড অবনতি সবার নজরে পড়ে। তার আইনজীবিরা আদালতে অভিযোগ করেন যে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে চিকিৎসকদের একটি দল পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর আদালতকে জানায় যে তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ যুক্তিযুক্ত। প্রথমে আইনজীবিরা আদালতে আবেদন জানান যেন তারেক রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে রিমান্ডে পাঠানো না হয়। আদালত সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু পরে দেখা যায় রিমান্ডের পর তারেক রহমানের শারীরিক অবস্থার ক্রমান্বয়ে অবনতি হচ্ছে। এক পর্যায়ে তারেক রহমান আর নিজের পায়ে হেঁটে আদালতে আসতে পারতেননা; তাকে প্রিজন ভ্যানের পরিবর্তে অ্যাম্বুল্যান্সে করে আনা প্রয়োজন হত ও তিনি এজলাসে উপস্থিত হতেন স্ট্রেচারে করে। এই পর্যায়ে আদালত রিমান্ডে নেয়ার আদেশ শিথিল করে তা কমিয়ে ১ দিন ধার্য করেন ও জিজ্ঞাসাবাদকারীদের সাবধানতা অবলম্বনের আদেশ দেন। অবস্থার অবনতি অব্যাহত থাকলে তারেক রহমানকে কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে ঢাকার শাহবাগস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৫ আগস্ট, ২০০৭ তারিখে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে তারেক রহমান তার হাসপাতাল কক্ষে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। এরপর খবরের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয় ও ধারণা সৃষ্টি হয় যে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনকে গোপন করার লক্ষ্যে এই খবর ছড়ানো হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখা দেয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ৪.২ মুক্তিলাভ ২০০৮ এর আগস্টে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো আদালতে গতি লাভ করে। প্রায় আঠারো মাস ব্যাপী নিপীড়িত অবস্থায় কারান্তরীণ থাকার পর ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে সবগুলো মামলায় তারেক রহমানের জামিনলাভ সম্পন্ন হয় ও তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি লাভ করেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগগুলো এই মুহুর্তে জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে আছে। একটি নির্দিষ্ট সময়ে সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ আনা হলেও পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় যাবৎ আইনী লড়াই চালিয়েও কোন কর্তৃপক্ষ আদালতের কাছে দূর্নীতির প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সন্দেহ পোষণ করেছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ অনেকাংশেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল কিনা। ৪.৩ চিকিৎসা ও বিদেশে অবস্থান ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে বিশেষ কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুত্র তারেক রহমানকে দেখতে যেন। সেদিন রাতেই তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বর্তমানে লন্ডনের সাউথ ওয়েলিংটন হসপিটাল ও লন্ডন হসপিটালে তার চিকিৎসা চলছে এবং চিকিৎসার সুবিধার্থে তিনি সেন্ট্রাল লন্ডনের এডমন্টনে সপরিবারে বসবাস করছেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত দূর্নীতির অভিযোগের কোনটিরই কোন প্রমাণাদি এখন পর্যন্ত আদালতে উপস্থাপিত হয়নি। বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকাকালীন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারেক রহমান সহ তার কার্য্যালয়ের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছিলেন সেগুলোও এখনও অপ্রমাণিত ও অমীমাংসিত অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। উপরন্তু সরকার পক্ষ হতে দায়ের করা একটি দূর্নীতি মামলা কেন বাতিল করা হবেনা এই মর্মে দেশের উচ্চ আদালত সরকারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ৫ বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল ৮ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তারেক রহমান সংগঠনের জেষ্ঠ্য ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উক্ত কাউন্সিলে তারেক রহমানের একটি ধারণকৃত বক্তব্য উপস্থিত জনসমাবেশের উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়। বক্তব্যটিতে তারেক রহমান জানুয়ারী ২০০৭-এ ক্ষমতায় আসা অগণতান্ত্রিক সরকারের হাতে তার অন্যায় গ্রেপ্তার ও বন্দী অবস্থায় নির্যাতনের বর্ণনা দেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে আপাতদৃষ্টিতে মনে হওয়া বিচার বিভাগীয় ব্যাবস্থার আড়ালে তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তারেক রহমান তার শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দেন ও জানান তার চিকিৎসা সম্পন্ন হতে আরও সময় প্রয়োজন। এই বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার সময় উপস্থিতদের কেউ কেউ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। উক্ত কাউন্সিলে আরও বক্তব্য রেখেছেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য জর্জ গ্যালোওয়ে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচারমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমূখ।

Tuesday, October 23, 2012

Funny pic

আপনার কি মনে হয় ইসলামিক পশু জবাই পদ্ধতিটি খুব নিষ্ঠুর? আসুন দেখা যাক, বিজ্ঞান কি বলে :

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না

Western World এ পশু জবাইয়ের প্রচলিত নিয়ম(CPB Method): 
Captive bolt pistol(CPB ) নামের এক ধরনের যন্ত্র দ্বারা পশুর কপালে প্রচন্ড আঘাত করা হয়। ধারনা করা হয় এতে পশু unconscious হয়ে পড়ে এবং জবাইয়ের পর ব্যথা অনুভব করে না।

গবেষণা :

 জার্মানির Hanover University এর প্রফেসর Wilhelm Schulze এবং তার সহযোগী Dr. Hazim এর নেতৃত্বে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষনার বিষয়বস্তু ছিল :
১. Western World এ প্রচলিত নিয়মে(CPB Method) এবং
.ইসলামিক নিয়মে পশু জবাইয়ে পশুর যন্ত্রণা এবং চেতনাকে চিহ্নিত করা।
Experimental Setup: 
Brain এর surface কে touch করে পশুর মাথার খুলির বিভিন্ন জায়গায় surgically কিছু electrode ঢুকিয়ে দেয়া হয়। পশুকে এরপর সুস্থ হওয়ার জন্য কিছু সময় দেয়া হয়। তারপর পশুগুলোকে জবাই করা হয়। কিছু পশুকে ইসলামিক নিয়মে আর কিছু পশুকে western world এর নিয়মে। জবাই করার সময় Electro Encephalo Graph (EEG) এবং Electro Cardiogram (ECG) করে পশুগুলোর brain এবং heart এর condition দেখা হয়।
Result: 

ইসলামিক পদ্ধতিতে জবাইয়ের ফলাফলঃ

. জবাইয়ের প্রথম ৩ সেকেন্ড EEG graph এ কোন change দেখা যায় না।  তারমানে পশু কোন উল্লেখযোগ্য ব্যথা অনুভব করে না।
. পরের ৩ সেকেন্ডের EEG record এ দেখা যায় , পশু গভীর ঘুম এ নিমগ্ন থাকার মত অচেতন অবস্থায় থাকে। হঠাৎ প্রচুর পরিমানে রক্ত শরীর থেকে বের হয়ে যাবার কারনে brain এর vital center গুলোতে রক্তসরবরাহ হয়না। ফলে এই অচেতন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
. উপরিউল্লিখিত ৬ সেকেন্ড এর পর EEG graph এ zero level দেখায়। তারমানে পশু কোন ব্যথাই অনুভব করেনা ।
. যদিও brain থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না , তবুও heart স্পন্দিত হচ্ছিল এবং তীব্র খিঁচুনি হচ্ছিল (spinal cord এর একটা reflex action) । এভাবে শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে রক্ত বের হয়ে যাচ্ছিল এবং এর ফলে ভোক্তার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত মাংস নিশ্চিত হচ্ছিল ।

Western World এ প্রচলিত পদ্ধতিতে(CPB Method) জবাইয়ের ফলাফলঃ

. মাথায় প্রচন্ড আঘাত করার পরের মুহূর্তে পশুটিকে দৃশ্যত অচেতন মনে হচ্ছিল
. কিন্তু EEG এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছিল পশুটি খুব কষ্ট পাচ্ছে ।
. ইসলামিক পদ্ধতিতে জবাই করা পশুর তুলনায় CBP দিয়ে আঘাত করা পশুটির heart স্পন্দন আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । যার ফলে পশুটির শরীর থেকে সব রক্ত বের হতে পারে নি । এবং ফলশ্রুতিতে, পশুটির মাংস ভোক্তার জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে যাচ্ছিল ।

Western World এর পদ্ধতি(CPB Method) এবং MAD COW রোগঃ

Texas A & M University এবং Canada এর Food Inspection Agency একটা পদ্ধতি(Pneumatic Stunning) আবিষ্কার করেছে যেটাতে একটা metal bolt পশুর brain এ fire করা হয় এবং এর ফলে brain এর টিস্যু পশুর সারা শরীরে ছড়িয়ে পরে । Brain tissue এবং spinal cord হল Mad Cow আক্রান্ত গরুর সবচেয়ে সংক্রামক অংশ।  এছাড়াও brain এবং heart এ electric shock এর মাধ্যমে পশুকে অচেতন করেও কিছু কিছু জায়গায় পশু জবাই করা হয় যেটা মাংসের quality এর উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে ।

ভারতীয় পদ্ধতিঃ 

ভারতে পশুর মাথা এক কোপে আলাদা করে ফেলা হয় । এতে করে ঐচ্ছিক পেশীগুলো হঠাৎ করে সঙ্কুচিত হয়ে পরে যা অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ তরল বের করে দেয় এবং heart হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শরীর থেকে রক্ত বের হতে পারে না , যা বের হওয়া স্বাস্থ্যকর মাংসের জন্য দরকার ।
এছাড়া ইসলামে spinal cord না কেটে শ্বাসনালী , এবং jugular vein দুটো কাটার ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে । এর ফলে রক্ত দ্রুত শরীর থেকে বের হয়ে যেতে পারে । Spinal cord কাটলে cardiac arrest এর সম্ভাবনা থাকে যার ফলে রক্ত শরীরে আটকে যাবে যা রোগজীবানু এর উৎস ।
এখানে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর একটি হাদীস মনে করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন অনুভব করছিঃ "আল্লাহ সবাইকে দয়া করার হুকুম দেন । তাই যখন জবাই কর তখন দয়া কর । জবাই করার পূর্বে ছুরিতে ধার দিয়ে নাও যাতে পশুর কষ্ট কম হয়" । তিনি পশুর সামনে ছুরিতে শান দিতে বা এক পশুর সামনে আরেক পশুকে জবাই করতেও নিষেধ করেছেন । এই জিনিস্টা কুরবানীর সময় আমারা ভুলে যাই ।
সবশেষে , আমরা কি এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে পশু জবাই করার ইসলামিক পদ্ধতিটিই সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত এবং পশু এবং পশুর মালিক উভয়ের জন্যই উপকারী?

সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৩৬

● ► একজন বান্দাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সে অবশ্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সামনে দণ্ডায়মান। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার আমল সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত এবং তাকে তার আমল বিষয়ে একদিন অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হবে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, "আর যে বিষয় তোমার জানা নাই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে।"
[সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৩৬]

গরু

১. দুনিয়ায় গরু আছে প্রায় ৯২০ প্রজাতির। পাঁচ হাজার বছর ধরে গরু মানুষের পোষা প্রাণী।

২. পাঁচ মাইল দূর থেকেও গন্ধ শুঁকে কোনো কিছু শনাক্ত করতে পারে গরু।


৩. দুধ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরুর দুধের তাপমাত্রা থাকে ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কারণ গরুর গায়ের তাপমাত্রাও ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

৪. কাদার মধ্যে ঘোড়ার চেয়ে জোরে ছুটতে পারে গরু।

৫. জাবর কাটা প্রাণীদের মধ্যে গরু অন্যতম। খাওয়ার চেয়ে জাবর কাটায় বেশি সময় দেয় গরু। দিনে ছয় ঘণ্টা খায় আর আট ঘণ্টা জাবর কাটে। মিনিটে জাবর কাটে ৪০বার।

৬. গরুর একটাই পাকস্থলী। তবে চারটা আলাদা হজম থলে রয়েছে। সবচেয়ে বড় থলে রুমেন। খাবার হজম হয় এ থলে থেকেই। রেটিকুলাম থলেতে জমা হয় খেয়ে ফেলা শক্তপোক্ত জিনিস। ওমাসাম থলে ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে। আর চতুর্থ থলে অ্যাবোমাসাম কাজ করে মানুষের পাকস্থলীর মতো।

৭. কামড়ানো বলতে যা বোঝায়, সেটা গরু পারে না। কারণ গরুর ওপরের পাটিতে দাঁতনেই।

৮. সাধারণত ২৫ বছর বাঁচে গরু। গরুর শিংয়ের বৃত্ত গুনে বয়স বের করা যায়। যতটা বৃত্ত তত বছর বয়স।

৯. দিনের মধ্যে ১৪ বার গরু ওঠাবসা করে।

১০. নেদারল্যান্ডসের ফ্রাইসল্যান্ডে গরু আর মানুষের সংখ্যা সমান।

Saturday, February 04, 2012

19 Futuristic and Creative Cell Phone Concepts

19 Futuristic and Creative Cell Phone Concepts
Inbox
x

Tonmoy (Imamul Karim )
Jan 27 (8 days ago)

to me
19 Futuristic and Creative Cell Phone Concepts
Mobile Phone is one of the fast developing thing in the field of technology. It's in the hands of each and everyone in this world and has become a part of our life. Then what about the future Collection of the most creative and interesting cell phone concepts designed by talented people from all over the globe.
 
Weather Cell Phone Concept
 
Beautiful cell phone concept design by Seunghan Song accurately detects and illustrates present weather conditions.

Click here to join nidokidos




Roll Out Bracelet Cell Phone - Concept
Alexey Chugunnikov created the mother of all concept phones: it has a transparent display, that’s also flexible and retractable. The Roller phone can be pulled up from a wrist band that serves as a normal watch and reveals a pretty large display. The flexible screen of the phone reaches from the wrist till the tips of your fingers, the ideal length of an interaction space.

Click here to join nidokidos




Click here to join nidokidos




Click here to join nidokidos

 

Mobile Script Cell Phone Concept
Designed by Aleksander Mukomelov, this cell phone comes with a large touchscreen, that is located inside the phone in the collapsed state.

Click here to join nidokidos




Projector Cell Phone Concept
Cool extra slim concept cell phone equipped with rotating screen with built-in projector; an ideal tool for field presentations.

Click here to join nidokidos




Braille Cell Phone concept
Many a time we do wonder how the blind is supposed to find cellphones useful, and here’s the Braille Phone concept which relies on Electric Active Plastic to create Braille code on the screen of the phone, allowing the visually impaired to read whatever message or incoming call simply by touching it.
Click here to join nidokidos
 
Click here to join nidokidos
 

Alarm Clock Cell Phone Concept
Sony Ericsson WakeUp Phone looks and functions like an alarm clock that will wake you up in the morning.
Click here to join nidokidos
 

Pen Cell Phone Concept
Target-shaped areas on top and bottom are earpiece and receiver.
Click here to join nidokidos


Leaf Cell Phone - Concept
Leaf Phone Features an Organic Structure, is Made of Eco Friendly Plastic Leaf Phone Features an Organic Structure. Created by designer Anastasia Zharkova. The handset resembles a natural leaf and uses an organic structure, plus Eco-friendly plastic as its main material.
Click here to join nidokidos
 
Click here to join nidokidos
 

Edge Cell Phone Concept
Designed by Chris Owens, the transparent touchscreen keypad is edge lit by internal LED’s.
Click here to join nidokidos
 

Grass Cell Phones
Green mobile phones designed to last only for the length of its functional life cycle, they fall apart for easy recycling after two years are up.
Click here to join nidokidos


LG Helix Bracelet Cellphone
Being fancy is more important to some than being technologically up to date and this trend was also followed by designer Rob Luna, who created the LG Helix concept phone. This device can also be used as a slap bracelet and worn on the owner’s wrist. There’s also an LED section up front
Click here to join nidokidos
 
Click here to join nidokidos
 
Click here to join nidokidos
 

Mechanical Cell Phone Concept
Cell phone designed by Mikhail Stawsky will charge its battery when you spin it around your finger.
 
Click here to join nidokidos
 

Flexible Cell Phone Concept
Beautiful wrist concept cell phone designed by Shirley A. Roberts.
Click here to join nidokidos
 

Ear Cell Phone Concept
Kambala is a cool mobile phone that transforms into an earpiece.
Click here to join nidokidos
 

Philips Fluid Flexible Smartphone Concept
Created by Brazilian Designer Dinard da Mata. You can wrap the device around your wrist and turn it into a bracelet for fashionable users. The handset supports gaming when the bracelet is rolled out horizontally, displaying virtual gaming controls.
Click here to join nidokidos
 
Click here to join nidokidos
 
Click here to join nidokidos
 

Samsung Bracelet Smartphone
Erik Campbell designed a very original Samsung bracelet phone, a wearable mobile device concept that relies on memory alloy articulation. This smartphone is destined to reach the wrists of athletes, adventurers and tech freaks from all over the world.
Click here to join nidokidos
 
Click here to join nidokidos
 
Click here to join nidokidos
 
Click here to join nidokidos
 

Samsung Finger Touching Cellphone - Concept
The idea of a device that projects its keyboard or interface on a surface instead of incorporating a display hasn’t been exploited enough till now and here’s a concept that reminds us of the power of projectors. The Samsung Finger Touching hand phone is a sort of bracelet-like handset that projects its keypad onto your hand. The user’s fingers will become the keypad and the round segment of the concept phone is the one that incorporates the projector.
Click here to join nidokidos
 

Purse Bracelet Fancy Cell Phone - Concept
Designer By Yw Li. This is surely a phone for ladies, a fancy device that can be worn like a precious purse or bracelet, due to a long and probably golden chain.
Click here to join nidokidos
 
Click here to join nidokidos
 

ZTE Cube Cell Phone
This device seems to be folded, with the aid of 3 hinges and that means that we’re dealing with a rather long phone, when it not gone “cube mode”. The concept was demonstrated at the Mobile World Congress 2008 in Barcelona by ZTE.
Click here to join nidokidos
 
Click here to join nidokidos



Bookmark and Share
Nokia Morph Concept

Morph is a concept demonstrating some of the possibilities nanotechnologies might enable in future communication devices.
Morph can sense its environment, is energy harvesting and self cleaning






Click here to Reply or Forward
Ads – Why this ad?
Japanese Cars for Sale. Various Japanese used cars here.
 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Hot Sonakshi Sinha, Car Price in India